শ্বশুরের যৌন হয়ারনীতে অতিষ্ঠ হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন পুত্রবধু।
বুধবার গভীর রাতে শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদা পীরকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
মামলার বাদী ওই গৃহবধূ জানান, তারা অত্যন্ত গরিব এবং তার বাবা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
আসামি সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদা ভন্ড পীর তার মায়ের পীর ভাই। সে তের কিংবা সাড়ে তের বছর বয়সে (গৃহবধু) মায়ের সাথে সিদা পীরের টঙ্গীর তিলারগাতির বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিন রাতে তাকে একটি রুমে আটকে সিদার মাদকাসক্ত বখাটে ছেলে রাকিবের সাথে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে গত ২০১৭ সালের ২৭ জুন এবং তখন সে ক্লাস সেভেনে পড়ে।
তার জন্ম ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর এবং তার বয়স পনের বছর হওয়ার আগেই সে কন্যা সন্তানের মা হয়। বর্তমানে সে ষোল বছরের তরুণী এবং শ্বশুরের যৌন হয়রানিতে অতিষ্ঠ। বেশ কয়েকবারই সে শ্বশুরের লালসার শিকার হয়েছে এবং এসব বিষয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবেও বহুবার বিচার সালিস হয়েছে। প্রতি বারই ঘটনা বলে দেওয়ায় ও বিচার চাওয়ায় স্বামী, শ্বাশুরী ও ননদসহ সকলে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এমনকি একবার পুলিশও তাকে উদ্ধার করেছে বলে সে জানায়। গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় এবং নিজের শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করার বহু চেষ্টা করে অবশেষে ব্যর্থ হয়েছি এমন দাবি করে মেয়েটি বলে, ‘আমি এখন আর পারছি না। আপনারাই বলেন, আমি কার সাথে সংসার করবো ? শ্বশুরের সাথে নাকি স্বামীর সাথে ?’ আমি আশ্চর্য হই যখন ‘সব কিছু জেনেও সবাই এখনো আমাকে সংসার করার জন্য চাপ দেয় এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। কিন্তু কোন
অবস্থাতেই আমার পক্ষে এখানে সংসার করা সম্ভব নয়। আমি ন্যায়বিচার চাই।
এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং মেয়েটির শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।